সমাজ পূনর্গঠনে মুসলিম যুবকদের ভূমিকা

 


-যুবকেরা যেকোনো জাতির অমূল্য সম্পদ। 
-যুবকদের দৃঢ় মনোবল, অপরিসীম সাহস ও কাজের দক্ষ মানসিকতাই পারে একটা জাতিকে চেঞ্জ করে দিতে।
-সভ্যতার উত্থান-পতনে তার বড় অংশই এসেছে যুবকদের হাত ধরে।
-তারুণ্যই সংস্কৃতি ও সভ্যতার উন্নয়নের মূল কারিগর।
-বদ্ধ কুঠিরের দুয়ার চূর্ণ করে যাওয়াটা যুবকদের অর্জন।
-বিজয়ের পুষ্পমালা তাদের পদচুম্বন করে।
-যুবকরাই মাতৃভূমি রক্ষা ও দেশের ভূখন্ডকে অখন্ড ও নিরাপদ রাখার অকুতভয়ী যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
-তারা সদা জাগ্রত, নির্মোহ জ্ঞানের অধিকারী, সজীব, সাহসী ও নিষ্কণ্টক। 
-মুসলিম যুবকদের মুখর পদচারণা ই সম্ভব হয়েছে ইউরোপের বুকচিরে ইসলামের মশালকে তার মঞ্জিলে পৌঁছে দিতে।

-আল কোরাআনেও গাওয়া হয়েছে এই যুবকদের জয়গান। আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
اَللّٰهُ الَّذِیْ خَلَقَكُمْ مِّنْ ضُؔعْفٍ ثُمَّ جَعَلَ مِنْۢ بَعْدِ ضُؔعْفٍ قُوَّةً ثُمَّ جَعَلَ مِنْۢ بَعْدِ قُوَّةٍ ضُؔعْفًا وَّ شَیْبَةً١ؕ
“আল্লাহ দুর্বল (শিশু) অবস্থায় তোমাদের সৃষ্টি করেন অতঃপর দুর্বলতার পর শক্তিদান (যৌবন) করেন, অতঃপর শক্তির পর দেন দুর্বলতা ও বার্ধক্য।” [সূরা রোম : ৫৪]

-পাশাপাশি, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিলফুল ফুজুলের মত চুক্তিভিত্তিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর রাসুল (সা.) তারুণ্যের জন্য রেখে গেছেন আদর্শের মোক্ষম দৃষ্টান্ত।
তিনি সবসময় বলতেন,
“কেউ যদি এখনো আমার কাছে হিলফুল ফুজুলের দোহাই দিয়ে সাহায্য চাই। তাহলে আমি তাকে অবশ্যই সাহায্য করবো।” [সিরাতে ইবনে হিশাম : ১/১৪১]

-যুবকদের বীরত্ব গাঁথা কথামালার শুরুটা হয়েছে আল্লাহভীরু, তাকওয়াবান মর্দে মুজাহিদ ও সত্যের পথে প্রথম শাহাদাত বরণকারী তরুণ হাবিলের মাধ্যমে।

-হযরত ইব্রাহিম (আ.) যখন মূর্তি পূঁজার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে পাষণ্ড নমরুদের অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তখন তিনিও ছিলেন যুবক।
(কুল ইয়া নার কুনি বারদাও ওসালামুন আলা ইব্রাহিম)

-ইসমাঈস আঃ কে যখন কুরবানীর করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ আসলো তখন তিনি ছিল যুবক।
(ইন্নি আরাফিল মানা….সাতাজিদুনি ইনশাআল্লাহু মিনাস সবিরিন)

-হযরত ইউসুফ (আ.) যখন কারাগারে বন্দী ছিলেন তখন তিনিও ছিলেন চির যুবক।
قَالَ رَبِّ السِّجْنُ اَحَبُّ اِلَیَّ مِمَّا یَدْعُوْنَنِیْۤ اِلَیْهِ١ۚ
ইউসুফ বললো, “হে আমার রব! এরা আমাকে দিয়ে যে কাজ করাতে চাচ্ছে তার চাইতে কারাগারই আমার কাছে প্রিয়!

-হযরত ইউনুস (আ.) কে যখন সমুদ্রের মাছ গিলে ফেলে তখনও তিনি একজন যুবক।
(লা ইলাহা ইল্লা আনতা…ফাসতা যাবনা লাহু)

-হযরত দাউদ (আ.) যখন জালিম শাসক জালুতকে হত্যা করেন, তখন তিনিও ছিলেন টগবগে যুবক।
(কুন্ঠ ছিল সুন্দর…..কুনু করিদাতান খাসিয়িন)

-আসহাবে কাহাফের কয়েকজন তরুণের জীবন্ত কাহিনী তো আমাদের দোরগোড়ায় এখনো উপস্থিত। আল কোরআনে বলা হয়,
نَحْنُ نَقُصُّ عَلَیْكَ نَبَاَهُمْ بِالْحَقِّ١ؕ اِنَّهُمْ فِتْیَةٌ اٰمَنُوْا بِرَبِّهِمْ وَ زِدْنٰهُمْ هُدًىۗۖ
“হে নবী আমি তোমাকে শুনাচ্ছি এক সত্য কাহিনী। তাঁরা ছিল কয়েকজন তরুণ। তাঁরা তাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আনয়ন করেছিল এবং আমি তাদেরকে সৎপথে চলার শক্তি বৃদ্ধি করে দিয়েছি। (সূরা : কাহাফ- ১৩)

-যৌবনের সময় এতোই গুরত্বপূর্ণ যে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন এই সময়ের আলাদা হিসেবে নিবেন। (লা তাজুলু কদামা ইবনে আদম…..আন উমুরিহি ফি মা আফনাহু ও আন শাবাবিহি ফি মা আবলাহু)

-যুবকদের ইবাদতের পুরষ্কার হিসেবে হাশরের কঠিন দিনে আরশের ছায়ায় স্থান পাবে তারা। (সাবয়াতুন ইউদিল্লুহুমুল্লাহু….শায়াব্বুন নাশায়া ফি ইবাদাতিল্লাহ)

-এজন্য রাসুলে আরাবী (সা.) বার্ধক্য আসার আগে যৌবনের গুরত্ব দিতে বলা হয়েছে।
(পাঁচটি অবস্থা আসার আগে পাঁচটি বিষয়ে করে সমাদর, বার্ধক্যটা আসার আগে যৌবনটাকে কাজে লাগাও)

-কবি আল্লামা ইকবাল বলেন,
“জোয়ান কো খুশে জিগর বকশে দে,
  মেরে ইশকে মেরে নজর বকশে দে”

-কবি হেলাল হাফিজ বলেন,
“এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার সময় তার”

-কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেন,
“কে আছো জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ
এ তুফান ভারি দিতে হবে পাড়ি নিতে হবে তরী পার”

-নবুয়্যত লাভের পর সর্বপ্রথম যারা রাসুলের (সা.) এর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন, তাদের সকলেই ছিলেন তরুণ নওজোয়ান। হযরত আবু বকর (রা.), হযরত উমর (রা.) যুবক বয়সে ইসলাম কবুল করেন। হযরত আলী (রা.) যখন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন তিনি দশ বছরের বুঝ-জ্ঞান সম্পন্ন বালক। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বেলাল (রা.) ও ছিলেন একজন তরুণ।

-বদরের যুদ্ধে হযরত ‘মুআয ও মুআ’ওয়িয’ নামক দু’জন তরুণ সাহাবীই ইসলামের ঘোর দুশমন আবু জাহিলকে হত্যা করেছিলেন।

-থমাস আর্নল্ড এর ‘দ্যা প্রিচিং ইসলাম’ পড়লে কিছুটা আঁচ করা যায়। বিংশ শতাব্দীর প্রাচ্যের দার্শনিকরা পর্যন্ত আরবের নওজোয়ানদের অন্তরের এই উদগ্র বাসনার প্রশংসা না করে পারেননি।

-ইংরেজ দার্শনিক ‘মন্টোগোমারি ওয়াট’ তাঁর ‘মুহাম্মদ ফি মাক্কাহ্’ গ্রন্থতে বলেছেন,
“ইসলাম মূলত যুবকদেরই আন্দোলন ছিল। রাসূল (সা.) আরক্বাম নামক যুবকের বাড়ি থেকে এ আন্দোলন পরিচালনা করতেন। কেননা, দা‘ওয়াতী কার্যক্রম তার প্রচারের ওপর নির্ভর করে। আর যুবকরাই সেই দা‘ওয়াতকে মক্কা ও এর উপকণ্ঠে প্রচার করতেন।

-খায়বার বিজয়ী বীর, শে’রে খোদা হযরত আলী (রা.) যিনি কামূছ দুর্গের লৌহ কপাট উপড়িয়ে ফেলে এক হাতে নিয়ে এটিকে যুদ্ধের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন, তখন তিনিও ছিলেন তারুণ্যদীপ্ত যুবক।

-মু’তার যুদ্ধে সেনাপতি ছিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ তিনিও ছিলেন যুবক। পরপর ৩ সেনাপতির শাহাদাতের পরও তার নেতৃত্ব সুপার পাওয়ান রোমানদের সাথে মুসলমানের বিজয় অর্জিত হয়।

-স্পেন বিজয়ী সেনাপতি তারেক বিন জিয়াদ তিনিও ছিলেন যুবক।
আইয়ুহাল ইখওয়ান! আল বাহারু মিও ওরা ইকুম, ওল আদুল্লু মিন আমামাকুম ফা ইনাল মাফার

-তরুণ মুহাম্মাদ বিন কাশিমের সিন্ধু বিজয়ের গৌরব গাঁথা ইতিহাস কি আমরা ভুলে গিয়েছি? কিভাবে সম্ভব হয়েছে এরকম অসাধ্য কাজগুলোকে তাদের সাধ্য করে তোলার?

কিন্তু তারপরেও যদি আজকের সাম্রাজ্যবাদের মুখের উপর তারা পলায়ন শুরু করে তাহলে কাপুরুষতার শেষ অধ্যায়টুকু তাদের হাতেই রচিত হবে।

-বাংলাদেশের সাথেই মিশে আছে আমাদের অস্তিত্বের দ্বারা। এধারার সূচনা হয়েছিল ১২০৬ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খলজির বঙ্গদেশ জয় করার মাধ্যমে।
এরপর থেকে টানা ৫৫০ বৎসরের ইতিহাস বাংলায় মুসলিম শাসকদের ন্যায়ের ইতিহাস। এ ইতিহাসের কবর রচিত হয় ১৭৫৭ সালে পলাশির ময়দানে নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে।

-এরপর টানা ১৯০ বৎসরের ইতিহাস বাংলার মুসলমানদের শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশও স্বাধীনতার অমীয় সুধা পান করে। কিন্তু ৪৭’ পরবর্তী থেকে বাঙ্গালী সেক্যুলাররা বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জোরালো ভূমিকা পালন করার মধ্যে দিয়ে ইসলামকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করার হীন চক্রান্তে মেতে ওঠে। যেটা এখন পর্যন্ত চলমানই রয়েছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে ব্রাহ্মণ্যবাদী কালচারকে সার্বজনীন বলে চাপিয়ে দেওয়ার নিকৃষ্ট প্রচেষ্টা এখনো জারি আছে।

-ফলে আমাদের তরুণ সমাজ আজ দিশেহারা। তাদের চিন্তার ভিত নড়ে উঠছে। তারা আজ নিজেদের আইডেন্টিটি নিয়ে ক্রাইসিসে ভুগছে।

-এছাড়াও বিশ্বায়নের এ যুগে আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাব পড়েছে আমাদের মুসলিম তরুণ মানসে। পশ্চিমা বিশ্ব মুসলিম যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাহায্যে চালাচ্ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন।
এ প্রসঙ্গে সমাজ বিজ্ঞানী Michael Kunezik বলেন,
Cultural imperialism through communication is a vital Process for Securing and maintaining economic domination and political hegemoni over others
অর্থাৎ ‘অর্থনৈতিক আধিপত্য ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব অর্জন ও তা বহাল রাখার জন্য যোগাযোগ মাধ্যমের সহায়তায় সাংস্কৃতিক সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া’। [আত-তাহরীক ৪/৬ মার্চ ২০০১, পৃ: ২৭,]

-বর্তমান বিশ্বে পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়েও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে তামাকজাত পণ্য ও মাদকদ্রব্য। তাছাড়া ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে মাদক পাচারের আন্তর্জাতিক রুট।

-ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে এদেশের উঠতি বয়সের তরুণদের ধ্বংস করার জন্য তাদের সীমান্তে অসংখ্য হেরোইন ও ফেনসিডিল কারখানা স্থাপন করেছে। এছাড়া স্থল, নৌ ও বিমান পথের কমপক্ষে ৩০টি রুট দিয়ে এ দেশে মাদক আমদানী ও রফতানী হচ্ছে। [আত-তাহরীক, সেপ্টেম্বর ২০১২, পৃ: ৭-৮]

-আমাদের শিক্ষানীতির পুরোভাগই ধর্মহীন শিক্ষানীতি। যার দরুন, পাঠ্যবইয়ে ধর্মীয় বিষয়াদী না থাকার ফলে আমাদের তরুনরা ধর্মীয় নৈতিকতা বোধ শিখতে পারছেনা। তাই যত দিন যাচ্ছে তারুণ্যে মানস সংকট প্রবল হয়ে উঠছে। (If you teach your children)
“শতকরা ৫০ ভাগ মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়ায় শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। ফলে মালয়েশিয়া আজ সর্বক্ষেত্রে উন্নত। অথচ শতকরা ৯০ ভাগ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা সবচেয়ে অবহেলিত। ফলে আমরা আজ সর্বক্ষেত্রে অধঃপতিত।”

-শিক্ষা ব্যবস্থাপনার মূল স্তম্ভ হচ্ছে তিনটি; শিক্ষক, ছাত্র ও পরিচালনা কমিটি। দলীয় রাজনীতির বিষাক্ত ছোবলে এই তিনটি ক্ষেত্রই আজ ক্লেদাক্ত হয়ে গেছে। এখন তারা নিজ দলীয় ছাত্রদের ভাই ও বন্ধুর পর্যায়ে নেমে এসেছেন। খাতায় নম্বর দেওয়ার নিরপেক্ষতাও এখন অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। এমনকি মেডিকেল কলেজের মত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এ থেকে মুক্ত নয়।

-মুসলমানরা আজ মিডিয়া সাম্রাজ্যবাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। তারা কথায় কথায় মুসলিমদের মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নাম দিয়ে তাদের অগ্রগতিকে ব্যহত করছে। আর মুসলমানদের পক্ষে বলার মত কোন নিজস্ব মিডিয়া নেই।

-বিশ্ব মুসলিম নেতৃত্ব আজ শতধা বিভক্ত। তাদের মাঝে ঐক্যের সংকট প্রকট। ফলে যার লাগাম পুরো মুসলিম বিশ্বকে টানতে হচ্ছে। আজকের মুসলিম তারুণ্যের চোখে সামনে যখন এগুলো ফুটে ওঠে তখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কোন গত্যন্তর থাকে না।

-পত্রিকায় বিনোদনের পাতা নামে নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের নগ্ন, অর্ধনগ্ন ছবি এমনভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে যা দেখে তরুনমনে যৌন সুড়সুঁড়ি সৃষ্টি হচ্ছে। ফলস্বরূপ তারা নোংরা পথে নিজেদেরকে বিকিয়ে দিচ্ছে ।

-আজকের মুসলিমরা যদি আকাশ সংস্কৃতির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে, শুধু বাংলাদেশের তরুণদেরই নয় বরং সারা বিশ্বে মুসলমানদের উপরই এক বিশাল সাংস্কৃতিক হামলা বয়ে যাবে। এজন্যই মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দানকালে বলেছিলেন,

“পশ্চিমা জগৎ ইন্টারনেটের মাধ্যমে অশ্লীল ও মারদাঙ্গা ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটি কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন এবং মাদক চোরাচালানের চেয়ে কম বিপদজনক নয়। তাদেরকে অবশ্যই সর্বব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। তথাকথিত বিশ্বসংবাদ মাধ্যমের একচেটিয়া অধিকার খর্ব করতে হবে।”

-তাই আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মুসলিম নেতৃবৃন্দকে এসব কাজে এগিয়ে আসা জরুরি। সারা বিশ্বের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে যতটুকু রাজনৈতিকভাবে কাজ চালাচ্ছে তার চাইতে বেশি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ইসলামি সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির প্রবণতাবোধ।

-আলহামদুলিল্লাহ! পুরো মুসলিম বিশ্বের উপর দিয়ে পাশ্চাত্যের চাপিয়ে দেওয়া ঝড়ের মোকাবেলায় একদল দক্ষ তারুণ্যের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা পরিবেশের আলোকে, অবস্থার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে কাজ করছে।

-কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্য তার ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় বলেছেন,
“আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়
পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা
এ বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়
আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা।”

-মিশরের কবি ‘ইব্রাহিম নাজি’ তারুণ্যের এই ত্যাগ- তিতিক্ষাকে আরো উৎসাহ দিয়ে বলেছেন-

“যখন চক্ষু ঘুমিয়ে পড়ে তখন আমরা যুবকরা ভোরে জাগা পাখির ন্যায় প্রত্যুষে জাগ্রত হয়ে ফজরকে অভ্যর্থনা জানাই। আমরা যুবকরা সবাই মিলে প্রকৃত মর্যাদা অর্জনে ঝাঁপিয়ে পড়ি। (জেনে রাখ) যে বিজয়ের জন্য সকাল সকাল ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেই বিজয় ছিনিয়ে আনে।”

-কবি কাজী নজরুল ‘আমি হবো কবিতায় বলেছেন,

আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠবে মাগো রাত পোহাবে তবে।

-কবি আল মাহমুদ “আমাদের মিছিল কবিতায় বলেন,

“আমাদের এ মিছিল নিকট অতীত থেকে অনন্ত কালের দিকে…
আমরা বদর থেকে ওহুদ হয়ে এখানে, শত সংঘাতের মধ্যে এ শিবিরে এসে দাঁড়িয়েছি….
কে প্রশ্ন করে আমরা কোথায় যাবো ?
আমরা তো বলেছি আমাদের যাত্রা অনন্ত কালের….
উদয় ও অস্তের ক্লান্তি আমাদের কোনদিনই বিহবল করতে পারেনি।”

 

Post a Comment

0 Comments

Close Menu