পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের করণীয়

 


➤পরিস্থিতি মানে কি?
Situation/অবস্থা/Condition/হাল হাকিকত/চতুর্দিকের পরিবেশ

➤পরিস্থিতি মোকাবেলা কি?
-সর্বাবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকা ও বরণ করে নেয়া
-মোকাবেলা মানে, দেয়ালে পিঠ ঠেকা নয়
-দৈন্য যদি আসে আসুক লজ্জা কিবা তাতে
মাথা উঁচু রাখিস,
সুখের সাথী মুখের পানে যদি না চাহে
ধৈর্য ধরে থাকিস।

➤ইসলামী আন্দোলনের স্বাভাবিক পরিস্থিতি কেমন?
-কণ্টকাকীর্ণ (খুন রাঙা এই পথে প্রয়োজন)
-পথ যে বড়ই শ্বপদ সংকুল, পরিস্থিতি আজ শুধু প্রতিকূল
-কত অযুহাতে সরছি দ্বীনের পথ থেকে, পরিবেশ আর পরিস্থিতি নেই অনুকূল এই মতে
-মুয়াজ রা. বর্ণিত হাদিসে মুমিনদের জন্য ভবিষ্যৎ বাণী
-মুমিনদের সব ধরণের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিৎ (খুজু হিজরাকুম ফানফিরু)
-সুসময়ে সমালোচকদের দ্রুততার তাগিদ
-সুবিধাবাদীদের মুখোশ উন্মোচন হয়
-দুঃসময়ে বিরোধীদের অপপ্রচার ও নির্যাতন
-ভীরু ও কাপুরুষের ঈমান হারা হওয়া (কার কতটা ঈমান আছে, আম হাসিবতুম)

➤ইসলামী আন্দোলনের পরিস্থিতি মোকাবেলার গুরত্ব কি?
-সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে (আমাদের নিয়মিত প্রোগ্রাম সবার চেয়ে বেশি)
-বিরোধী শক্তি কোন ক্ষতি করতে পারে না (আমীরে জামায়াতসহ সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন)
-নতুন নতুন কাজের ফর্মুলা আবিষ্কৃত হয় (জুম, টেলিগ্রাম, সফটওয়্যার রিপোর্ট, একাউন্টে জমা)
-জনশক্তিদের প্রাণবন্ত ও চাঙ্গা রাখা যায় (মেধাবীদের আমাদের দিকে ছুটে আসা)
-জনমনে অকৃত্রিম ভালোবাসা তৈরি হয় (এক যুগের যুলুমের পরও নির্বাচনে জয়ী হওয়া)
-বিশ্ব মহলে প্রশংসিত হওয়া যায় (২৮ অক্টোবরে নিজামী ভাইয়ের বক্তব্য)

➤পরিস্থিতি মোকাবেলায় দায়িত্বশীলদের প্রস্তুতি:
-দায়িত্বশীলদের একটি বড় বৈশিষ্ট্য প্রজ্ঞা (পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিফহাল)
-সবসময় অপশন হাতে রাখা (প্রোগ্রাম প্লেস, মেহমান, বক্তব্যের বিষয়বস্তু, কর্মসূচি পালন)
-নিজে আগে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত থাকা (মক্কা বিজয়ের দিন রাসুল আগে রোযা ভেঙ্গেছেন)
-বিরোধী নেতৃবৃন্দ ও প্রভাবশালীদের সাথে সম্পর্ক রাখা (সালাম, উপহার, নাসতা, উপকার)
-পারিবারিক অসচ্ছলতা ও দুর্যোগ বরণে অভ্যস্ত হওয়া
-জনশক্তিদের ক্ষমা-মার্জনা (ফা বিমা রাহমাতি মিনাল্লাহি) এবং প্রয়োজনানুসারে কঠোরতা প্রদর্শন(মান অবনতি)
-নিজে কষ্ট সহিষ্ণু ও সাদাসিধা জীবনে অভ্যস্ত হওয়া (ইন্নাল বাজাজাতা মিনাল ঈমান)
-উত্তম নসিহত, পরামর্শ ও এহতেসাব
-চিন্তা ও গবেষণা এবং নফলিয়াত

➤বৈরি পরিস্থিতিতে জনশক্তিদের যে ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি দিতে হবে:
-নিজের মানের ক্ষেত্রে সচেতন থাকা
-পরিক্ষা ও গুনাহ একসাথে এলে পরিক্ষাকে বরণ করা (ও ইন কুল কদ্দারাল্লাহু)
-নিজের জান, মাল, পরিবার, ক্যারিয়ার কুরবানীর মানসিকতা তৈরি
-সর্বাবস্থায় দাওয়াতি কাজে সম্পৃক্ত থাকা ও দায়ী হওয়ার প্রচেষ্টা চালানো
-সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা ও পরিত্রাণের উপায় জানা
-বিরোধী শক্তির অপতৎপরতার বিরূদ্ধে ভালোকে পেশ করা (ওলা তাসতা বিল হাসানা)
-বন্ধু সংগঠনের সমালোচনার জবাবে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে না পড়া (মাওলানার মত)
-সকল বৈরি পরিস্থিতি সম্পর্কে দায়িত্বশীলকে অবহিত করা

➤ক্যাম্পাস সংগঠনে যে রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়:
-শিক্ষকদের ডি-মটিভেশন
-অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের অপতৎপরতা
-বেশি বেশি ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা
-হারাম রিলেশনশিপকে স্বাভাবিক মনে করা
-অনলাইনে অহেতুক সময়দান
-অতিরিক্ত পেনাটিসিজম (চরমপন্থীর সংস্পর্শ)
-হঠাৎ রেজাল্ট খারাপ হলে নিষ্ক্রিয়তা
-অর্থনৈতিক উপর্জনের হাতছানি (হারাম পন্থায়)
-অতিরিক্ত লজিং, টিউশনি
-বন্ধু বান্ধবের সংস্পর্শে এডিকশন
-হঠাৎ পারিবারিক চাপ ও অসচ্ছলতা
-সিনিয়রের উপর জুনিয়র দায়িত্বশীল(তুমি বলা)
-সেশন জোট, দুই জায়গায় পড়াশুনা
-প্রক্সি পরিক্ষা, ক্লাস মনিটর, সাইড সংগঠন

➤আবাসিক সংগঠনে যে রকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়:
-বিরোধী সংগঠনগুলো হুমকি
-ম্যাচিউর ছাত্রের অভাব (বুঝতে সময় লাগে)
-নেতৃত্বের ঘাটতি (বেশিরভাগ মাধ্যমিকের)
-পিতা-মাতার ভয় ও বাধা (যেই ছেলে মা)
-নামাজ ক্বাযা, তেলোয়াত✘, রিপোর্ট গ্যাপ
-বিভিন্ন মত ও পথের দিকে দিক্ষিত হওয়া
-বেশি সময় সহচর্যে না পাওয়া
-কোচিং, প্রাইভেট টিচার, হোম টিচার
-পারিবারিক কাজে বেশি সময়দান (দোকান, চাষাবাদ)

➤যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় যে গুণগুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে:
-ধৈর্য
-সাহসিকতা
-কষ্ট সহিষ্ণুতা
-ত্যাগ কুরবানী
-অনুপ্রেরণা সৃষ্টি
-বিচক্ষণতা ও প্রজ্ঞা
-সহজভাবে গ্রহন করা
-আল্লাহর প্রতি এস্তেকামাত

Post a Comment

0 Comments

Close Menu