ইসলামী আন্দোলনে গণভিত্তি তৈরির উপায়

 


ইসলামী আন্দোলন কি?

ইসলাম আন্দোলন শব্দের আরবী পরিভাষা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ, ইংরেজিতে Islami Movement

দুনিয়ায় আল্লাহর হুকুমত কায়েমের লক্ষ্য বাতিলের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে প্রান্তান্তকর এক প্রচেষ্টা চালানোকে ইসলামী আন্দোলন বলে।


ইসলামী আন্দোলনের পর্যায়ঃ

১. দাওয়াত ইলাল্লাহ

২. শাহাদাত আলান্নাস

৩. কিতাল ফি সাবিলিল্লাহ

৪. ইকামতে দ্বীন

৫. আমর বিল মারুফ ও নাহু আনিল মুনকার


পৃথিবীর দেশে দেশে ইসলামী আন্দোলনঃ

১. ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড (মিশর, মধ্যপ্রাচ্য)

২. জামায়াতে ইসলামী (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান)

৩. মিল্লি গুরুস/রেফা পার্টি/শাদাত পার্টি (তুরস্ক)

৪. আন নাহদা পার্টি (তিউনেশিয়া)

৫. হামাস (ফিলিস্তিন, ইরাক)

(হারাকাত আল মুকাওয়ামা আল ইসলামীয়া)

৬. আল ইসলাহ সোসাইটি (বাহরাইন, ইয়েমেন, UAE)

৭. ইসলামিক সলভেশন ফ্রন্ট (আলজেরিয়া)

৮. PAS (Malaysian Islamic Party)

৯. Jastice & Development Party (Morocco)

১০. Islamic Action Front (Jordan)

১১. Islamic Mission (UK, Japan, Africa)

১২. ICNA (Islamic Circle of N.America)

১৩. MUNA (Muslim Ummah of N.America)


গণভিতি কি?

গণভিত্তি মানে সম্মিলিত মজবুতি, প্রত্যেক জায়গায় নিজেদের অবস্থান বা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ। অর্থাৎ যে কাজে শুধু কতিপয় লোক নয় জনগণের বিরাট অংশের সমর্থন থাকে।

আমরা যে ভিশন নিয়ে কাজ করছি, আল্লাহর জমিনে তার হুকুমত কয়েমের, এই লক্ষ্যের বিরোধী না হয়ে আপামর জন সাধারণের ঐক্যমত হওয়া এবং তার জন্য প্রত্যেকের জায়গায় থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টার ফলাফলকে গণভিত্তি বলা যায়।


গণভিত্তি তৈরির গুরুত্বঃ

১. ইসলামী আন্দোলন বিজয়ের শর্ত গণভিত্তি:

(অধ্যাপক গোলাম আযমের মতে ২টি শর্ত পূরণে ইসলাম বিজয়ী হয়, তার ১টি হলো গণভিত্তি)

২. ইসলামের সুমহান আদর্শের কথা হক আদায় করে মানুষের কাছে পৌঁছতে গণভিত্তি জরুরি (দাওয়াতের সম্প্রসারণ এর মাধ্যমে হয়েছে)

৩. ইসলামকে পরিপূর্ণ মানতে গণভিত্তি জরুরি (সালাত ও যাকাত প্রতিষ্ঠা, সাঈদী সাহেবের মতে, একাকিনী রমনী নির্জন পথে যাবে)

৪. বিপ্লবকে সাসটেইনেবল/স্থায়ী করতে (মিশরের মুরসীর বিজয়, ইরানের ও তুরস্কের ঘটনা, বালাকোট আন্দোলন ব্যর্থ হওয়া)

৫. সবচেয়ে প্রতিকূল মুহূর্তে এটি আন্দোলনের সাথীদের রক্ষা করে (বেইজ এরিয়া, রাবির বিনোদপুর)

৬. জাতীয় স্থানীয় নির্বাচনে সফল হওয়া যায়


গণভিত্তি তৈরির উপায় বা পন্থাঃ

১. সকল কাজকে গণভিত্তির দিকে কেন্দ্রীভূত করা।

২. সংগঠনের সকল স্তরের এর জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহন করা।

৩. গণনভিত্তিক লক্ষ্যে আলাদা ইনভেস্ট করা।

৪. মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিদদক সংগঠন, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা করা।

৫. বেশি বেশি জনসেবামূলক কাজ বাস্তবায়ন করা।

৬. আ'ম দাওয়াতের লক্ষ্যে সামষ্টিক ভোজ, আলোচনা সভা, ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা।

৭. বিভিন্ন দিবস, অনুষ্ঠান, দুর্ঘটনা ও দূর্যোগে সাধারণ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

৮. ইসলামের সার্বভৌম দিকে গুলো সবার কাছে সুস্পষ্ট করা।

৯. সকল মত, পথ ও দলের লোকদের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।

১০. যুবক ও শিশুদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করা।


গণভিত্তি তৈরিতে সতর্কতাঃ

১. গণভিত্তির কাজগুলো যাতে ব্যক্তি বিশেষ না হয়।

২. গণনভিত্তির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ তদারকিতে রাখা।

৩. এই সব জায়গায় আমানতদারিতা ও সবার কাছে গ্রহনযোগ্য লোকদের নিয়োজিত করা।

৪. অর্থনৈতিক সমস্যা যাতে এইসব কাজকে বাধাগ্রস্থ না করে।

৫. মূল দায়িত্বশীল ভাইয়েরা সরাসরি এই জায়গায় তত্ত্বাবধান করা।

৬. গণভিত্তি তৈরির পথে অন্তরায়/সমস্যাগুলোর কাল বিলম্ব না করে সমাধান করা। 


গণভিত্তি তৈরিতে আমাদের হতে হবে-

☞উদ্যোমী

☞সাহসী

☞পরিশ্রমী

Post a Comment

0 Comments

Close Menu