দারসুল কুরআনঃ সুরা আলে ইমরান (১৪-১৭)

 


 

ভূমিকাঃ
-ইমরুল কায়েসের কাব্যিব দক্ষতা
-কুল লা ইনিস তামাতু ইনসু ওল জিন্নু….
-চদ হাজারা দপ্তরে হাস আরিবু….
-কুরআন বুঝা ফরজ (আফালা ইয়া তাদাব্বারুল -মুহাম্মদ: ২৪, এটি ব্রাম্মনদের কোন কিতাব নয়, কাইফা ইজহাবু ইলম ইয়া রাসুলুল্লাহ)
-মরনগে হাম কিতাব উপার, ওরাগনহোগা কাফন আপনা

আরবী ও অনুবাদঃ
আয়াত: 14
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَ الْبَنِیْنَ وَ الْقَنَاطِیْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَ الْفِضَّةِ وَ الْخَیْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَ الْاَنْعَامِ وَ الْحَرْثِ١ؕ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ اللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ
অর্থ :  মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহ‌র কাছে।

আয়াত: 15
قُلْ اَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَیْرٍ مِّنْ ذٰلِكُمْ١ؕ لِلَّذِیْنَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا وَ اَزْوَاجٌ مُّطَهَّرَةٌ وَّ رِضْوَانٌ مِّنَ اللّٰهِ١ؕ وَ اللّٰهُ بَصِیْرٌۢ بِالْعِبَادِۚ
অর্থ :  বলো, আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেবো, ওগুলোর চাইতে ভালো জিনিস কি? যারা তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করে তাদের জন্য তাদের রবের কাছে রয়েছে বাগান, তার নিম্নদেশে ঝরণাধারা প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরন্তন জীবন লাভ করবে। পবিত্র স্ত্রীরা হবে তাদের সঙ্গিনী এবং তারা লাভ করবে আল্লাহ‌র সন্তুষ্টি। আল্লাহ‌ তার বান্দাদের কর্মনীতির ওপর গভীর ও প্রখর দৃষ্টি রাখেন।

আয়াত: 16
اَلَّذِیْنَ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِۚ
অর্থ :  এ লোকেরাই বলেঃ “হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, আমাদের গোনাহখাতা মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের বাঁচাও।

আয়াত: 17
اَلصّٰبِرِیْنَ وَ الصّٰدِقِیْنَ وَ الْقٰنِتِیْنَ وَ الْمُنْفِقِیْنَ وَ الْمُسْتَغْفِرِیْنَ بِالْاَسْحَارِ
অর্থ :  এরা সবরকারী, সত্যনিষ্ঠ, অনুগত ও দানশীল এবং রাতের শেষভাগে আল্লাহ‌র কাছে গোনাহ মাফের জন্য দোয়া করে থাকে।

সুরা পরিচিতিঃ
সূরার ক্রম- ৩
অবতীর্ণ- মাদানী
নামের অর্থ- ইমরানের পরিবার’
মোট আয়াত সংখ্যা- ২০০
পারা নং- ৩ পারা(১-৯১), ৪ পারা(৯২-২০০)
মোট রুকুর সংখ্যা- ২০
সিজদাহ সংখ্যা- নেই
পূর্ববর্তী সূরা- সূরা বাকারা
পরবর্তী সূরা- সূরা নিসা

নামকরণঃ
اِنَّ اللّٰهَ اصْطَفٰۤى اٰدَمَ وَ نُوْحًا وَّ اٰلَ اِبْرٰهِیْمَ وَ اٰلَ عِمْرٰنَ عَلَى الْعٰلَمِیْنَۙ
(আল্লাহ্‌ আদম, নূহ, ইবরাহীমের বংশধর ও ইমরানের বংশধরদেরকে সমগ্র বিশ্ববাসীর ওপর প্রাধান্য দিয়ে মনোনীত করেছিলেন)           এখানে ‘‘আলে-ইমরান’’ বা ‘ইমরানের বংশধরদের’ কথা বলা হয়েছে । একেই আলামত হিসেবে এর নাম গণ্য করে সুরার নামকরণ করা হয়েছে। ইমরান হলেন ঈসা (আ.) এর নানা। মরিয়ম আঃ এর বাবা। ইমরান আঃ এর স্ত্রীর নাম হান্না বিনতে ফাকুজ। হান্নার তার বোন বোন উশা বিনতে ফাকুজ হলেন জাকারিয়া আঃ এর স্ত্রী। যিনি ইয়াহিয়া আঃ এর বাবা এবং মরিয়ম আঃ এর খালু।
এই আয়াতে নবীদের শাজেরা (সিলসিলা) বর্ণনা করা হয়েছে। একটা হাদিসে নবীদের সংখ্যা পাওয়া যায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার আর রাসুলদের সংখ্যা ৩১৩ (মোট সাহাবীর সংখ্যা ও বদরী সাহাবীর সংখ্যার সমান)।
এই হাদীস মাওলানা মওদুদী তার তাফসীরে এনেছেন কিন্তু অধিকাংশ হাদীস মোতাবেক নবীদের সংখ্যা অজানা। তবে মাওলানা খুব শক্ত দলীল ছাড়া রেফারেন্স টানেন না।

নাযিল হওয়ার সময়কালঃ
১. প্রথম ভাষণটি সূরার প্রথম থেকে শুরু হয়ে ৩২ নং আয়াত পর্যন্ত চলেছে এবং এটি সম্ভবত বদর যুদ্ধের নিকটবর্তী সময়ে নাযিল হয়।
২. দ্বিতীয় ভাষণটি ৩৩ নং আয়াত থেকে শুরু হয়ে ৬৩ নং আয়াতে গিয়ে শেষ হয়েছে (৬ষ্ঠ রুকুর শেষ পর্যন্ত)। ৯ম হিজরীতে নাজরানের প্রতিনিধি দলের আগমনকালে এটি নাযিল হয়।
৩. তৃতীয় ভাষণটি সপ্তম রুকূ’র শুরু থেকে নিয়ে দ্বাদশ রুকূ’র শেষ অব্দি চলেছে। প্রথম ভাষণের সাথে সাথেই এটি নাযিল হয়।
৪. চতুর্থ ভাষণটি ত্রয়োদশ রুকূ’ থেকে শুরু করে সূরার শেষ পর্যন্ত চলেছে। ওহোদ যুদ্ধের পর এটি নাযিল হয়।

আলোচ্য বিষয়ঃ
(১) সূরায় বিশেষ করে দু’টি দলকে সম্বোধন করা হয়েছে। প্রথম, আহলী কিতাব (ইহুদী ও খৃস্টান) ও দ্বিতীয়, যারা মুহাম্মাদের প্রতি ঈমান এনেছিল।
(২) সূরা বাকারায় ইসলামের বাণী প্রচারের যে ধারা শুরু করা হয়েছিল প্রথম দলটির কাছে সেই একই ধারায় প্রচার আরো জোরালো করা হয়েছে।
(৩) তাদের আকীদাগত ভ্রষ্টতা ও চারিত্রিক দুষ্কৃতি সম্পর্কে সর্তক করা হয়েছে।
(৪) রসূল (স.) ও কুরআন এমন এক দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছে যার দাওয়াত পূর্ববর্তী ১ লাখ ২৪ হাজার পয়গাম্বর দিয়েছেন।
(৫) দ্বিতীয় দলটিকে শ্রেষ্ঠতম দলের মর্যাদা, সত্যের পতাকাবাহী ও বিশ্বমানবতার সংস্কার ও সংশোধনের দায়িত্ব দান করা হয়েছে।
(৬) পূর্ববর্তী উম্মতদের ধর্মীয় ও চারিত্রিক অধঃপতনের ভয়াবহ চিত্র দেখিয়ে তাকে তাদের পদাংক অনুসরণ করা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছিল।
(৭) আহ্‌লি কিতাব ও মুনাফিক মুসলমান আল্লাহর পথে নানা প্রকার বাধা বিপত্তি সৃষ্টি করছে তাদের সাথে কি আচরণ করবে, তাও তাকে জানানো হয়েছে।
(৮) ওহুদ যুদ্ধে তার মধ্যে যে দুর্বলতা দেখা দিয়েছিল তা দূর করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
(৯) এটি সূরা বাকারার একেবারেই পরিশিষ্ট মনে হচ্ছে।

ঐতিহাসিক পটভূমিঃ
(১) বদর যুদ্ধের মুসলমানদের কম সংখ্যক লোকের বিজয়ের সফলতা দেখে মুশরিক, মুনাফিক, আহলে কিতাব সবাই ঐক্যজোট হয়েছে মুসলমানদের পরাভূত করতে। অথচ মুশরিকদের চেয়ে মুসলমানরা বেশি  আহলে কিতাবদের বেশি কাছের হওয়ার কথা ছিল।
(২) ওহুদ যুদ্ধের সাময়িক পরাজয় দেখে নানান পর্যালোচনা মুসলমানদের জন্য বিভিন্ন দিক থেকে শুরু হলো। মুসলমানের নিজের মাঝেও ত্রুটিগুলো প্রকাশিত হলো। পাশাপাশি কারা কারা আগামী দিনের জন্য সবচেয়ে পরীক্ষিত তাদেরও বেঁচে নেয়া সম্ভব হলো।
এই সাথে সম্পর্কিত প্রত্যেক বিষয়ের উপর আল্লাহর ওহীর দালীল প্রয়োজন ছিল।

ব্যাখ্যাঃ
১৪ নং আায়তঃ
-আল্লাহ যেটা সুশোভিত করে দেন সেখান থেকে মানুষ বের হতে পারে না
-দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষ এর এক বা একাধিক আকর্ষণে নিমজ্জিত
[নারী]-বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর….
-কোন কালে একা হয়নি কো জয়ী….
-উসকুন আনতা ও জাওজুকাল জান্নাতা
-আশিহুন্না/আনসিকু/সাররিকু বিল মারুফ
-হামালাতহু উম্মুহু ওহানান আলা ওহানিন
-তাদের মর্যাদার অংশ হিসেবে কুরআনে তাদের নামে একটি সুরা আছে
-কিন্তু কর্তৃত্বে তারা পুরুষের অধীন (আর রিজাল কাওয়ামুনা আলান নিসা)
-Behind every successful man….
-নারী একমাত্র জাতি যারা নিজেরা নিজেদের হিংসা করে
[সন্তান-সন্ততি]-আল মালু ওল  বানু জিনাতুন হায়াতুদ দুনিয়া (আবদুল্লাহ বিন মোবারক ও বুড়ির ঘটনা)
-রাব্বি হাবলি মিনাস সলিহিন
-রব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়াজিনা….
-ইন্না ইবনি মিন আহলি (সন্তানও পরিক্ষা)
-ইয়া বুনাইয়া ইন্নি আরাফিল মানা….
-ওইজ ক্বলা লুকমানা লি ইবনি ওহুয়া….
[স্বর্ণ-রোপ্য]-পৃথিবীর শুরু থেকে এটি ছিল
-টাকার মান কমছে কিন্তু স্বর্ণের দাম বাড়ছে (২০০৮ সালে স্বর্ণের ভরি ছিল ২৬,০০০/-, তখন ১০০০/- নোট তৈরি হয়, বর্তমানে ৯০,০০০/-)
-এজন্য পৃথিবীর সুপার পাওয়ার রাষ্ট্রগুলো এখন স্বর্ণ জমা শুরু করছে
-এটি পৃথিবীর প্রলয়দিন পর্যন্ত দামী থাকবে
-এমনি, ও আখরাজাতিল আরদি আসকালাহা
[সেরা ঘোড়া]-এর দ্বারা আকর্ষণীয় বাহন বুঝানো হলো (বাইক, কার, বিমান, জাহাজ)
-আবারো ঘোড়ার প্রয়োজনীতা শুরু হবে
-ঘোড়া হলো যুদ্ধাস্ত্রের প্রতীক
-সুরা আদিয়াতে তা বলা হয়েছে (রূদ্ধশ্বাসে দৌড়ায়, আগুনের ফুলকি ছড়ায়, প্রভাতে আক্রমন করে, ধুলি উড়ায়, শত্রুদলে ঢুকে পড়ে)
-রবীন্দ্রনাথ বলেছে, ‘ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুইন…..জীবনস্রোত আকাশে ঢালি’
-মা তারাকা দিনারাও(স্বর্ণ) ওলা দিরহামা (স্বর্ণ)
-জাগাদি লাগানে কিলিয়ে এ দুনিয়া নেহি হে
ইয়ে ইবারাত খুজায়ে তামাশা নেহি হে
[গবাদিপশু]-এটি তৎকালীন আরবের প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন ছিল
-পৃথিবীতে সকল নবীরা গবাদিপশুর মালিক ছিলেন না, তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন (যাতে আকর্ষণ না থাকে)
-মা বায়াসাল্লাহু নাবীয়া ইল্লা রায়াল গানাম….ও কুনতু আরাহা আলা কারারিতা আহলি মাক্কা
-আনআম শব্দ আল্লাহ নেগেটিভ অর্থে ব্যবহার করছেন (ওলাকাদ জারা’না লি জাহান্নামা…..)
[কৃষিক্ষেত্র]-এটিও দুনিয়া মোহের আরেকটি উপাদান
-পৃথিবীতে জমি নিয়েই যতসব দ্বন্দ্ব সংঘাত
-জমির দাম কখনো কমে না (কৃষি জমি এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ)
-এটি মানুষ স্বযত্নে তৈরি করে, যার কারনে তার প্রতি আলাদা মায়া জন্মে (কাজার ইন আখরাজা সাতয়াহু ফাসতাগলাজা….ফাতাহ-২৯)
-এখান থেকে মানুষ ফসল সংগ্রহ পরবর্তী সময়ে উপকৃত হওয়া যায় (এজন্য দুনিয়াকে আখিরাতের শস্যক্ষেত বলা হয়েছে)
-এখানে ৬টি বিষয়ের কথা বললেও সুরা তাওবার ২৪ নং আয়াতে ৮টি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে (কুল ইন কানা আবায়ুকুম ও আবনায়ুকুম….(পিতা,  সন্তান, ভাই, স্ত্রী, আত্মীয়, সম্পদ, ব্যবসা, বাসস্থান)
-এসবই ক্ষনস্থায়ী জীবনের ক্ষনস্থায়ী আকর্ষণ (জিন্দেগী ইনসান কি এক দম কে সাওয়া কুচ বি নেহি)
-আল্লাহর কাছে এরচেয়ে উত্তম জিনিস আছে মানে হলো এগুলোও আল্লাহর দান কিন্তু এর চেয়ে উত্তম যেটা তা দুনিয়াতে নেই (আখিরাতে থাকবে)

১৫ নং আয়াতঃ
-কি সেই উত্তম জিনিস? (এর উত্তর আল্লাহই দিচ্ছেন)
-৬টি আকর্ষণকে উপেক্ষা একটি কাজে মনোনিবেশ হতে হবে তাহলো “তাকওয়া”
-তাকওয়া অর্থ খোদাভীতি, আরেক অর্থ বেঁচে থাকা
-ইসলামের মৌলিক ইবাদত সমূহের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়া সৃষ্টি (সালাম, সাওম, কুরবানী)
-তাকওয়াবানদের জন্য রয়েছে জান্নাত (তিলকাল জান্নাতুল্লাতি নুরিসু মিন ইবাদিনা মান কানা তাকিয়া)
-তাকওয়া শুধু পোশাকের নাম নয় (আত তাকওয়া হা হুনা ইলা ইশারাতা কলবি)
-এর ফলে তারা লাভ করবে, ১. ঝর্ণাধারা প্রবাহিত জান্নাত, ২. পবিত্র স্ত্রীগণ, ৩. আল্লাহর সস্তুষ্টি
-জান্নাতে থাকবে ৪টি ঝর্ণাধারা-পানি, দুধ, শরাব, মধু (জান্নাত লিখে দিও নসীবে আমার)
– জান্নাতের হুরগণ হবে “চির যৌবনা” “ভ্রু এবং মাথা ব্যতীত লোমহীন”, “খাঁটি” এবং “সুন্দর” “তাদের পায়ের হাড়ের মজ্জা হাড় মাংসের মধ্য দিয়ে দেখা যাবে”
-আল্লাহ সন্তষ্টি এক অর্থ নেয়ামত দান করা, আরেক অর্থ আল্লাহর দিদার
-আল্লাহর তার বান্দাকে গভীরভাবে পরিদর্শন করে থাকেন

১৬ নং আয়াতঃ
-এধরণের সাফল্য লাভকারীদের ৩টি বিষয়ে দোয়া করতে হবে, ১. ঈমানের সাক্ষ্য, ২. গোনাহ মাফ চাওয়া, ৩. জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়া
-ঈমানের সাক্ষ্য দেয়া ঈমানের শর্তের অন্তর্ভুক্ত
-তাওহীদের নিউক্লিয়াস হলো ঈমান
-ঈমানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্তর রয়েছে (মানরা মিনকুম মুনকিরিন……যে ঈমান প্রয়োজনে)
-গুনাহ মাফ চাওয়া আমাদের প্রত্যহিক কাজ হওয়া উচিৎ (রাসুল সা. নামাজের সময় প্রত্যেক ধাপে শুধু গুন্নাহ চাইতেন)
-আল্লাহ শেষ রাতে বান্দাদের ডাকেন গুনাহ মাফ করার জন্য (মাই ইয়াগফিরলি ফা গুফারা লাহু)
-একই সাথে জাহান্নাম থেকে বাঁচাররদোয়ারকরতে হবে (রব্বানাসরিফ আন্না আজাবা জাহান্নাম ইন্না আজাবাহা কানা গরামা)

১৭ নং আয়াতঃ
-এটি মুমিন পুরুষদের বৈশিষ্ট্য: সবর, সত্যবাদী, অনুগত, দানশীল, তাহাজ্জুদ গুজারী
-আর মুমিন নারীদের বৈশিষ্ট্য: ‘মুসিলাতিন, মুমিনাতিন, কনিতাতিন(আনুগত্য), তায়েবাতিন, আবেদাতিন, সাহেয়াতিন (রোযাদার), সায়েবাতিন (পূর্ব বিবাহিত), ও আবকারা (কুমারি) [তাহরীমঃ ৫]
-আল্লাহ ধৈর্য্য ধারনকারীদের সাথে থাকেন ও তাদের ধৈর্যের পুরস্কার হিসেবে জান্নাত দেন
-রাসুলুল্লাহর নবুয়্যত প্রাপ্ত হওয়ারও আগের বৈশিষ্ট্য ছিলা সত্যবাদিতা (নারিফু নাসাবাহু ও সিদকাহু ও আমানাতাহু ও আফাফাহু)
-আনুগত্যহীন জীবন জাহেলি জীবনের সমান (মান খারাজা মিনাত ত্বয়াতি ও ফারাকাল জামায়াতা ফামাতা মাইতাতান জাহেলিয়া)
-দানশীলতা মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করে (আবু বকর, ওমর আর বেলাল রা. দান)
-শেষ রাতে জাগরণ আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য (সল্লু ফিল লাইলি ওন্নাসু নিয়াম/ও ইযা কানাল লাইলু কানু রুহবানা/আল্লাহর দরবারে চোখের পানির কত দাম…)

শিক্ষাঃ
১. মুমিনদের দুনিয়ায় মোহে আকৃষ্ট হওয়া যাবে না কারন দুনিয়া প্রতারণার জায়গা [ওমাল হয়াতিদ দুনিয়া ইল্লা মাতায়ুল গুরুর (হাদীদ)]
২. যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভ করতে পারবে তারাই উত্তম প্রতিদান প্রাপ্ত [ওমান জুহজিহি আলিন নার ও উদখিলাল জান্নাহ ফাকাদ ফাজ]
৩. মুমিনরা সবসময় আল্লাহর কাছে তাওবা ও ইস্তেগফারে মশগুল থাকে।
৪. আল্লাহর প্রিয় বান্দারের সর্বদা ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করা উচিৎ

Post a Comment

0 Comments

Close Menu