খাব্বাব ইবনে আরাত রা. বর্ণিত ত্যাগ-কুরবানি সংক্রান্ত হাদিস

 حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى

[মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না বলেছেন]

حَدَّثَنَا يَحْيَى

[ইয়াহইয়া বলেছেন)

عَنْ إِسْمَاعِيلَ

[ইসমাঈল হকে বর্ণনা করেন]

 حَدَّثَنَا قَيْس

[কায়েস বলেছেন]

عَنْ خَبَّابِ بْنِ الأَرَتّ 

[খাব্বাব ইবনে আরাত রা. হতে বর্ণিত]

 قَالَ شَكَوْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

[তিনি রাসুল সা. এর খেদমতে (কাফিরদের পক্ষ থেকে যে সব নির্যাতন ভোগ করছিলাম এসবের) অভিযোগ করলেন]

 وَهْوَ مُتَوَسِّدٌ بُرْدَةً لَهُ فِي ظِلِّ الْكَعْبَةِ

[তখন তিনি নিজের চাঁদরকে বালিশ বানিয়ে কা’বা শরীফের ছায়ায় বিশ্রাম করছিলেন]

 قُلْنَا لَهُ أَلاَ تَسْتَنْصِرُ لَنَا أَلاَ تَدْعُو اللَّهَ لَنَا 

[বললাম, আপনি কি আমাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) সাহায্য প্রার্থনা করবেন না? আপনি কি আমাদের (দুঃখ দুর্দশা লাঘবের) জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ করবেন না?]

قَالَ "‏ كَانَ الرَّجُلُ فِيمَنْ قَبْلَكُمْ

[তিনি বললেন, তুমি কি জানো তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর কি হয়েছে?]

 يُحْفَرُ لَهُ فِي الأَرْضِ فَيُجْعَلُ فِيهِ

[তাদের জন্য মাটিতে গর্ত খনন করা হত এবং ঐ গর্তে তাকে পুঁতে রাখা হতো]

 فَيُجَاءُ بِالْمِنْشَارِ، فَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ فَيُشَقُّ بِاثْنَتَيْنِ

[অত:পর একটি করাত* এনে মাথা দ্বিখন্ডিত* করা হতো]

 وَمَا يَصُدُّهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ

[এ (অমানুষিক নির্যাতনেও) তাদেরকে দ্বীন থেকে বিচ্যুত করতে পারত না]

 وَيُمْشَطُ بِأَمْشَاطِ الْحَدِيدِ

[লোহার চিরুনী দিয়ে শরীর আঁচড়ানো হতো]

مَا دُونَ لَحْمِهِ مِنْ عَظْمٍ أَوْ عَصَبٍ

[হাঁড় পর্যন্ত মাংস ও শিরা উপশিরা সব কিছু ছিন্নভিন্ন করে দিত]

وَمَا يَصُدُّهُ ذَلِكَ عَنْ دِينِهِ

[এ (লোমহর্ষক নির্যাতন) তাদেরকে দ্বীন থেকে বিমুখ করতে পারেনি]

وَاللَّهِ لَيُتِمَّنَّ هَذَا الأَمْرَ حَتَّى يَسِيرَ الرَّاكِبُ مِنْ صَنْعَاءَ إِلَى حَضْرَمَوْتَ

[আল্লাহর কসম! আল্লাহ এ দ্বীনকে অবশ্যই পূর্ণতা দান করবেন (এবং সর্বত্র নিরাপদ ও শান্তিময় অবস্থা বিরাজ করবে।) তখনকার দিনের একজন উষ্ট্রারোহী সান’আ থেকে হাযারামাউত পর্যন্ত ভ্রমণ করবে]

لاَ يَخَافُ إِلاَّ اللَّهَ أَوِ الذِّئْبَ عَلَى غَنَمِهِ، وَلَكِنَّكُمْ تَسْتَعْجِلُونَ ‏

[আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও অথবা মেষপালের জন্য নেকড়ে বাঘ ব্যতীত অন্য কিছুর ভয় করবে না। কিন্তু তোমরা (ঐ সময়ের অপেক্ষা না করে) তাড়াহুড়া করছো]


রেফারেন্সঃ [সহীহ আল বুখারী]

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৩৫৪

আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৬১২


রাবী পরিচিতিঃ [খাব্বাব ইবনে আরাত রা:]

-মূল নাম ‘খাব্বাব’, কুনিয়াত আবু আবদিল্লাহ, তাঁর পিতার নাম হলো ‘আরাত’।

-জন্ম : তিনি বর্তমান সৌদি আরবের ‘নজদ’ এলাকার বনু তামিম গোত্রে হিজরতের ৩৩ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন।

-বাল্যকাল : বনু তামিম গোত্রে অন্য গোত্র আক্রমণ চালিয়ে সব পুরুষ হত্যা করে নারী আর শিশুদের বাজারে বিক্রি করে দেয়। 

-বনু খুজায়া গোত্রের ‘উম্মু আনমার’ নামে এক মহিলা বালক খাব্বাবকে খরিদ করে নিয়ে যায়। আর এভাবেই তার ওখানে বাল্যকাল শুরু হয়।

-পেশা/যোগ্যতা : তিনি কিশোর বয়সেই কয়লার আগুনে লোহা গরম করে গলিয়ে তরবারি/বর্ষা ইত্যাদি তৈরি করে এর ব্যবসা করতেন।

-ইসলাম গ্রহণ : বড় হওয়ার একপর্যায়ে তিনি শুনতে পেলেন মক্কায় মুহাম্মদ সা: নামক এক ব্যক্তি নতুন দ্বীন/ধর্ম প্রচার করছেন। তিনি রাসূল সা:-এর কাছে এসে তাঁর মুখে কুরআনুল কারিম শুনে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করেন।

-তিনি ছিলেন ষষ্ঠ ইসলাম কবুল করা সাহাবি। ফলে তাকে সাদেসুল ইসলামও বলা হতো।

-শারীরিক নির্যাতন : তাঁর ইসলাম গ্রহণ প্রকাশিত হলে মালিক উম্মে আনমার ও তার ভাই শিবা ইবনু আবদুুল ওজ্জাসহ কয়েকজন মিলে খাব্বাবকে বলল, শুনলাম, তুমি না কি ধর্মত্যাগী হয়ে বনু হাশেম গোত্রের এক যুবকের অনুসারী হয়েছ? 

তখন তিনি খুবই স্পষ্টভাবে বললেন, আমি ধর্মত্যাগী হইনি বরং মূর্তিপূজা ছেড়ে দিয়ে, এক আল্লাহর ওপর ঈমান এনে মুহাম্মদ সা:-কে তাঁর বান্দাহ ও রাসূল হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছি। এ কথা বলার সাথে সাথে তার ওপর অতর্কিত বর্বর সন্ত্রাসী হামলা শুরু হওয়ায় তিনি রক্তাক্ত হয়ে পড়লেন মুহূর্তের মধ্যে। একপর্যায়ে তাকে লোহার পোশাক পরিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পিপাসায় বুক ফেটে যাওয়ার উপক্রম হলেও দ্বীন ছেড়ে দেননি তিনি।

-তিনি বলতেন, ইসলাম কবুল করার কারণে কাফেররা কতগুলো পাথরের টুকরা প্রচণ্ড গরম করে এর ওপর আমাকে শুইয়ে দিয়ে একজন শক্তিশালী মানুষ তার পা আমার বুকের ওপর রেখে দাঁড়িয়ে থাকত, যেন আমি নড়াচড়া না করতে পারি। কখনো কখনো জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর চিৎ করে শুইয়ে দেয়া হতো। ফলে, আমার চামড়া, চর্বি, রক্ত ও মাংস গলে গলে আগুন নিভেছে।

-দাওয়াতি কাজ : ইসলাম গ্রহণের পরপরই তিনি মক্কায় দাওয়াতে তাবলিগের কাজ শুরু করে দেন। ওমর রা:-এর বোন ফাতিমা রা: এবং তার স্বামী সাঈদ রা:-কে কুরআনুল কারিম শিক্ষা দিতেন।

-হিজরত : অসংখ্যবার নির্যাতন ভোগের পর তিনি প্রথম দিকেই মদিনাতুল মুনাওয়ারায় হিজরত করেন।

-যুদ্ধে অংশগ্রহণ : তিনি বদর, উহুদসহ প্রায় সব ক’টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

-হাদিস বর্ণনা : তিনি রাসূল সা:-এর কাছ থেকে ৩৩টি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে বুখারি-মুসলিমে তিনটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এককভাবে বুখারিতে দু’টি আর মুসলিমে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

-ইন্তেকাল : তিনি ৩৭ হিজরিতে কুফায় রোগাক্রান্ত হয়ে পড়লে চিকিৎসা করানোর পরও ভালোর চেয়ে খারাপ হতে হতে ৩৯ হিজরিতে, ৭২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। হজরত আলী রা: জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। এরপর তার শেষ অসিয়ত অনুযায়ী কুফার বাইরে এক জায়গায় তাকে কবরস্থ করা হয়।


গ্রন্থ পরিচিতিঃ [সহীহ আল বুখারী]

-আল কুরআনের পর বুখারীর স্থান।

-এটি সিহাহ সিত্তাহ'র বিখ্যাত গ্রন্থের অন্যতম।

-একে কুতুব আল সিত্তাহ বলা হয়।

-এর রচয়িতা ঈমার বুখরী র.

-বুখারী শরীফের পুরো নাম- আল জামী আস সহীহ আল মুসনাদ মিন উমুরি রাসুলুল্লাহি সা. ওয়া সুনানিহি ওয়া আইয়ামিহি।

-অনুপ্রেরণাঃ ঈমাম বুখারীর উস্তাদ ইসহাক ইবনে রাহওয়াই র.

-ঈমাম বুখারী ২৩ বছর বয়সে এই হাদীস রচনার কাজ শুরু করেন।

-এই গ্রন্থের কাজ শেষ করতে তার ১৬ বছর সময় লেগেছিল।

-এই গ্রন্থে মোট হাদিস: ৭২৭৫ মতান্তরে ৭০৫৩, অধ্যায়: ৯৮ মতান্তরে ৮৬, অনুচ্ছেদ: ৩৪৫০

-বুখারী শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থঃ ফাতহুল বারী (ইবনে হাজার আসকালানী), উমদাদুল ক্বারী (বদরুদ্দীন আইনী), মিন্নাতুল বারী (আবদুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক), ফয়জুল বারী (আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী)

-এই গ্রস্থ রচনায় ঈমাম বুখারীর সাধনা ও সতর্কতা

-ঈমাম বুখারী সম্পর্কে কিছু কথা


হাদিসের ব্যাখ্যাঃ

১ম অংশঃ

-হাদিসের রাবী খাব্বার নিজেই নির্যাতনের স্বীকার, তাই রাসুলের কাছে তার প্রশ্নটি ছিল অভিযোগ স্বরূপ

-আল্লাহর রাসুল তো ছিলেন মুস্তাজাবুদ দাওয়া

-কিন্তু দ্বীনের পথ এতোটা কুসুমাস্তীর্ণ নয় (এই পথে সংগ্রাম বাধা সীমাহীন, ব্যাথাময় দুর্গম কষ্ট আঁধার)

-খাব্বার প্রশ্নের জবাবে রাসুলের উত্তরটি ছিল ধমকের সুরে

-অর্থাৎ এতো যুলুম-নির্যাতনের মুখেও খাব্বারের কথাটি রাসুল যেনো বরদাশত করছিলেন না


২য় অংশঃ

-তাই তিনি পূর্ববর্তীদের উদাহরণ টানলেন

-মাথার উপর করাত রাখা হয়েছিল জাকারিয়া আঃ

-ইয়াহিয়া আঃ কে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল

-ইব্রাহিম আঃ কে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে (ইয়া নার কুনি বারদাও ও সালামুন আলা ইবৈাহিম)

-এর বর্তমান ফরমেশন হলো রিমান্ডে নির্যাতন (আয়নাঘরে বন্দি, ৫৭ দিনের রিমান্ড)

-শরীর থেকে গোশত আলাতা করা হয়েছে, অন্তর থেকে ঈমানাে আলাদা করা যায় নি

-ঈমান আলাদা হওয়ার বিষয় নয় (নফসি লি নফসিকাল ফিদায়ি ওজহি লি ওজজিকাল ফিদায়ি-তালহা রা. বলেছেন)

-ঈসা আঃ কে শূলে চড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে

-মুসা আঃ কে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে

-শূলে চড়ানোর বর্তমান ফরমেট হলো ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলানো (মিশরের ইখওয়ান নেতা সাইয়েদ কুতুবের ফাঁসি, আফগান সিংহ ওমর মুখতারের ফাঁসি, আমাদের শীর্ষ ৫ নেতৃবৃন্দের ফাঁসি)

-আম্মার বিন ইয়াসির, তাঁর মাতা সুমাইয়া এবং তাঁর পরিবার। তারা আল্লাহর পথে কঠোর শাস্তি ভোগ করেছেন।

-যখন মরুর বালু উত্তপ্ত হয়ে উঠত তখন তাদেরকে চিৎ করে শায়িত করে শাস্তি দিত। সে অবস্থায় একদা রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলেছিলেন- ‘‘হে ইয়াসিরের পরিবার! ধৈর্য ধারণ করো, তোমাদের ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত।’’ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ইয়াসের ইন্তেকাল করেন।

-দুর্বৃত্ত আবু জাহল সুমাইয়া (রাঃ) এর লজ্জাস্থানে তীর দিয়ে আঘাত হানলে তৎক্ষণাৎ তিনি শাহাদত বরণ করেন। তিনি ছিলেন ইসলামের প্রথম শহীদ। -তারা আম্মারের উপরও শাস্তি কঠোর করে, কখনও তাকে তারা উত্তপ্ত রোদ্রে ফেলে শাস্তি দিত, কখনও ভারি প্রস্তর তার উপরে চাপিয়ে রাখতো, আবার কখনও আগুনে দগ্ধকরে শাস্তি দিত।

-বিলাল (রাঃ) উমাইয়া বিন খালফের দাস ছিলেন। উমাইয়া তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করত, উত্তপ্ত রৌদ্রে অভূক্ত অবস্থায় ফেলে রাখত। যখন দ্বি-প্রহরের কঠিন রোদে বালু উত্তপ্ত হয়ে উঠতো তখন তাকে মক্কার মরুভূমিতে নিয়ে যেত, অতঃপর চিৎ করে শুইয়ে তার বক্ষদেশে বিশাল একটি পাথর চাপিয়ে দিত। তখন তিনি বলতেন, আহাদ, আহাদ (আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ এক)।

-আবদুল্লাহ যুল বাজাদাইনের ঈমান আনার ঘটনা

-হযরত যায়েদ বিন দাসানাকে বলা হয় “তোমার পরিবর্তে মুহাম্মদকে শুলে চড়ালে তুমি কি সহ্য করবে’’? তিনি জবাব দেন “তাঁকে শুলে চড়ানোতো দুরে কথা তাঁর পায়ে কাটার ফোঁটাও সহ্য করবোনা’’। এ কথা শোনার পর তাঁর উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয় ফলে তিনি শহীদ হয়ে যান। 

৩য় অংশঃ

-হযরত হামজার কলিজা চিবিয়ে খাওয়া হয়েছে। (উহুদের প্রান্তরে হামযার মত করে...)

-স্বয়ং রাসুলুল্লাহ নিজে দ্বীনের পথে সম্মুখীন হয়েছেন নানা নির্যাতনের (করদিয়া জঙ্গে...)


-আম হাসিবতুম আন তাদখুলুল জান্নাহ ওলাম্মা ইয়াতিকুম মাসালুল্লাযিনা...(বাকারা-২১৪)

-মুয়াজ ইবনে জাবালের হাদিস (নুশিরু বিল মিনশার ও হুমিলু আলাল খুশফ, মাওতুন ফি ত্বয়াতিল্লাহি খাইরুম মিনাল হায়াত ফি মাসিয়াতিল্লাহ)

-এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন নবীরা (আশাদ্দুন্নাসি বালাগিল আম্বিয়া...ও ইন কানা ফি দ্বীনিহি জালাবুাতুন জুইয়িদা ফিল বালাগ)

-তাওহীদ কি আমানত সিনো মেহে হামারে, আসা নেহি মিটানা নাম নিশা হামারা-আল্লামা ইকবাল

-দাওয়াতের পথে যুলুম নির্যাতনও এক ভয়ংকর দাওয়াত (অধ্যাপক মফিজুর রহমান)

-কুরআন প্রতিষ্ঠার কাজ এতো সহজ নয় (ইন্না সানুলকি আলাইকা কাওলান সাকিলা-সুরা মুযযামামিল)

-ইনকিলাব বাচ্চুকা খেল নেজি (মাওলানা মওদুদী)

-Cowards die many times before their death, but the valiant never taste of death but once [Julius Caeser: Williams Shakespeare]

-এই পথের নির্যাতন হচ্ছে পৃথিবীর প্রসব বেদনা, এই কষ্টের পর যে শিশু প্রসব করবে তার নাম ইসলাম (আল্লামা সাঈদী)

-পরিক্ষা হয় যতই কঠিন পুরস্কারও হয় ততই মূল্যবান (মল্লিকের গান/এটা হাদিসেরও কথা)

-Take pain, be perfect [Williams Shakespeare]

-যত যাবে রক্ত তত হবো শক্ত (আম্দের স্লোগান)

-কাশেসু আসহাবে কাহফে লুহুরা, হেফজু করদে ইয়াসু কাশতে নূহুরা (আল্লামা ইকবাল)

-আল্লাহ কাউকে ভালোবাসলে পরিক্ষা করেন, আর কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তাকে গুনাহে নিপতিত করেন (হাদিস)

-শহীদ আবদুল মালেকের জানাযায় এসে মাওলানা বলেছিলেন, 'আঃ মালেক বাংলার প্রথম শহীদ, শেষ শহীদ নয়'

-মাগরিব মে ওয়াজিয়ু মে গুজে আজা হামারে, তানথা নাথা কিসিসে সইলে রুইয়া হামারা (আল্লামা ইকবাল)

-দাস্ত তো দাস্ত হায় দরিয়া বি না ছোড় হামনে (আল্লামা ইকবাল)


৪র্থ অংশঃ

-এখানে 'ওল্লাহে' শব্দ দিয়ে শপথ করা হয়েছে (তিন ভাবে শপথ হয়-ওল্লাহে, বিল্লাহে, তাল্লাহে)

-মুমিনদের আল্লাহ ছাড়া কারো নামে শপথ করা যাবে না (আল্লাহ তার সৃষ্টির নামে শপথ করেন)

-'সানা' হচ্ছে ইয়ামেনের রাজধানী

-'হাজরামাউত' হলো পূর্ব ইয়ামেন, পশ্চিম ওমান ও দক্ষিণ সৌদি আরবের কিছু অংশ (আরব রাষ্ট্র)

-ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা থেকে মরক্কোর রাবাত পর্যন্ত শাসনের কথা বলতেন সাঈদী হুজুর

-একাকিনী রমনী নির্জন পথে যাবে কোনদিন কটু কথা কবে না, কোনদিন পথে ঘাটে সম্পদের মোহে খুন আর রাহাজানি হবে না (গানের লাইন)

-Within 1 century the whole Europe particularly England will have no choice to embrace ISLAM. [Nechellson]

-তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য ধারন করতে হবে (এ আকাশ মেঘে ঢাকা রবে না আলোয় আলোয় হেসে উঠবে, এ নদী গতিহীন হবে সাগরের পানে শুধু ছুটবে-কবি মল্লিক)


শিক্ষাঃ
১. ইসলামী আন্দোলনের জন্য পূর্ববর্তীদের ত্যাগ কুরবানির ইতিহাস স্মরণ করা উচিত।
২. এই জমিনে অবশ্যই দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে সে পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করা দরকার।
৩. সকল যুলুম নির্যাতনের মুখে দ্বীনের উপর অটল অবিচল থাকা মুমিনদের বাঞ্ছনীয়।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu